বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যেও দু’দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের মত এখনো কোন ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।
তবে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি যে কোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি প্রস্তুতও রয়েছে।
এদিকে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর জলসীমাসহ বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
শনিবার সন্ধ্যায় টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র চেকপোস্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক থাকলেও বিজিবি সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এখনো এ রকম কোন পরিবেশ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নাই যে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।
এতে বিজিবির মহাপরিচালকের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের ব্যাপারে লে. কর্নেল ফয়সল বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের বিজিবির সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে বাহিনীর মহাপরিচালক সীমান্ত পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির সামগ্রিক প্রস্তুতি দেখে বিজিবির মহাপরিচালক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
“ আজকে বিজিবির মহাপরিচালক মহোদয় সরেজমিনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমা পরির্দশন এবং নদীর সীমানায় বিজিবির টহল পরিদর্শন করেছেন। “
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, মাদক চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশসহ যে কোন ধরণের সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবি বদ্ধ-পরিকর। এ ব্যাপারে সীমান্ত এলাকার জনগণ ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
শনিবার সকালে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। পরে বিকালে সীমান্ত পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে তিনি ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা দেন।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোন ধরণের আশংকা দেখা দিলে বিজিবি অবস্থান কি হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়সল বলেন, আপাতত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোন আশংকা নেই। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে ইতিপূর্বে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে। এ ধরণের কোন পরিস্থিতি দেখা দিলে বিজিবি কঠোর অবস্থান অবলম্বন করবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবির এ ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক বলেন, সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এটার সাথে আমাদের (বাংলাদেশের) কোন সম্পর্ক নেই।
“ সীমান্তে নজরদারির পাশাপাশি সতর্কতামূলক অবস্থানে থাকলেও বিজিবি অতিরিক্ত সদস্য নিয়োজিত করেনি। “
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সাথে আগের মত স্বাভাবিক যোগাযোগ রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নজরে আসেনি বলে মন্তব্য করেন লে. কর্নেল ফয়সল।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply